বইমেলায় বাসন্তী জোয়ার || jagonews24.com

  • 3 years ago
বসন্ত এলো আজ। অথচ বইমেলায় ফাগুন হাওয়া লেগেছে দিন কয়েক আগেই। দখিনা হাওয়ায় প্রাণের মেলা দোল খাচ্ছিল গেল সপ্তাহ থেকে। তবুও বসন্তবরণের অপেক্ষার অন্ত ছিল না! কখন খুলবে দ্বার, কখন মিলবে ফাগুনের উদাস হাওয়ায় নতুন বইয়ের গন্ধ! প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ ফাগুনময় করে তুলেছিল বইপ্রেমীরা।

বসন্তবরণের দিন বইয়ের মানুষেরা যা চেয়েছিল, তারই রূপ ফলেছিল বইমেলায়। প্রেমের কুঞ্জবন, বইয়ের পাঠশালা, হলদে ফুলের বিশাল বাগান! সকল অভিধায় মিলল বসন্তবরণের বইমেলা আঙ্গিনায় নতুন নতুন রূপ। প্রকৃতি প্রেমে ডুব দিয়েছিল প্রথম প্রহরে আর জাগনা পেল বইয়ের বাজারে এসে। আর তাতে যেন বইয়ের বাজার রূপ নিল প্রেমবাজারে। ফাগুন, বইমেলা আর উদাস মনের মিতালিতে দিনভর শুধু প্রেমের খেলাই চলল এ পাড়ায়। এদিন বই বিক্রিও হলো ধুম।

এবারে শুরু থেকেই জমে ওঠেছে মেলা। প্রিয় লেখকদের বই কাটতিও হলো বেশ। তবুও মধ্য সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন আয়োজকরা। বিশেষ করে বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মধ্যদিয়েই পূর্ণতা আসে মেলায়। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

শাহবাগ এলাকায় উৎসব লেগেছিল সকাল থেকেই। দুপুরের পর দীর্ঘ লাইন। আর সন্ধ্যায় তো তিল ধরার ঠাঁই-ই থাকল না। মেলার আবহ মিলল টিএসসি, শাহবাগ, শহীদ মিনার আর হাইকোর্টের দক্ষিণ গেটেও। এ যেন রীতিমতো জনসমুদ্র। তাতে বাসন্তী রংয়ের আধিক্য। তরুণী, মধ্যবয়সী নারীরা মজেছিল হলদে প্রেমে। আর বাহারি ফুল, ফুলের মালা, ফুলের চাকতি গলায় গলায় শোভা পাচ্ছিল ।

মিরপুর থেকে সকালে বাসন্তী সাজে বের হয়েছিলেন তিশা। সঙ্গে খালাতো বোন সীমা। বিকেলে ভিড়েছেন বইমেলায়। তিশার অভিব্যক্তি-‘প্রতিটি দিবসেই প্রেম থাকে, থাকে প্রেমের বিশেষত্ব। আজকের চাঁদ আপনাকে যে প্রেম দেবে কাল সে প্রেম না-ও দিতে পারে। মানুষের মনও ঠিক তাই। বাঙালিয়ানার অন্যতম একটি উৎসব বসন্তবরণ। এখন শহরেও পালক মিলছে এই উৎসব। সে পালকে ভর করেই উড়াল দিলাম আজ। বেশ উপভোগ করলাম দিনটা। আর বইমেলায় এসে আনন্দে আত্মহারা।’

প্রিয় লেখক জাফর ইকবালের বই কিনেছে কিশোর বয়সী মুগ্ধ। বাবার সঙ্গে মেলায় এসেছে সে। বলে, ‘দারুণ লেগেছে। স্কুল থেকে এসে বাবার সঙ্গে বের হয়েছি। এত মানুষ! মজাই আলাদা। বসন্ত রূপ সবার মাঝেই।’

শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, ‘বসন্তবরণে বইমেলার যে ?