শাহ আলী মাজার শরিফ। মিরপুর মাজার শরীফ। sha ali mazar mirpur mazar

  • 2 years ago
শাহ আলী মাজার শরিফ। মিরপুর মাজার শরীফ। sha ali mazar mirpur maza
শাহ আলি মাজারের ইতিহা
হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে মিরপুর মাজার। মুসলমান গৃহবধুরা যেমন মানত নিয়ে উপস্থিত হয়, তেমনি হিন্দুরা এসে সিনিন গাছের গোড়ায় জ্বালায় ধুপধুনা। শবে বরাতের রাতে সম্ভবত এখানে বসে এশিয়ার বৃহত্তম ভিক্ষুকদের মেলা। এটা ক্রমে রাজনীতিক নেতাদেরও তীর্থস্থানে পরিণত হচ্ছে। আজকাল নির্বাচনী প্রচার শুরু হয় সিলেটের শাহজালাল মাজার থেকে, অদূর ভবিষ্যতে মিরপুর মাজার থেকে শুরু হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
মোগল-পূর্ব যুগ : শাহ আলী মসজিদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রথম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়ে এখানেই চলে আসতাম আমি প্রায় প্রতিদিন। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে এটি বাঙালির তীর্থস্থানে পরিণত হয়। সেই দিনের অনুষ্ঠানে আমি অনেক যোগ দিয়েছি। তবে কলেজের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে যাই ১৯৯৯ সালে প্রথম। ঢাকার ৪০০ বছর যতই এগিয়ে আসে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হতে থাকে মিরপুর মাজারের দিকে। কেননা মিরপুর মাজারের ইতিহাস রাজধানী ঢাকার চেয়ে পুরনো। মিরপুরের বসতি স্থাপনের ইতিহাস মোগল-পূর্ব যুগের বলে স্বীকৃত। ২০০১ সালের পর থেকে শাহ আলী মসজিদের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা জন্মাতে শুরু করে। ঢাকায় যেসব আদি ইট নির্মিত স্থাপত্য দেখা যায় তার মধ্যে প্রথমে নির্মিত হয় বিনতা বিবির মসজিদ (১৪৫৭ ), এরপর নির্মিত হয় শাহ আলীর মসজিদ (১৪৮০)।
পুরাতন ঢাকা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মিরপুর শাহ আলী বাগদাদীর মাজার। ২.৭৬ একর জমির ওপর মাজারটি নির্মিত। সিঁড়ির ধাপ বেয়ে উপরে উঠানামা, বিশাল প্রান্তর, পুকুর ও নদীতীরবর্তী অবস্থান মানুষের তীর্থস্থান হিসাবে খুবই উপযোগী বলে মনে হয়। সম্ভবত এই মাজারের সাথে একমাত্র তুলনা শাহজালালের মাজার আর ভারতের আজমীর শরীফের মাজার তাদের উঁচু অবস্থান ও পিরামিডাকার স্থাপত্যের জন্য। হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে মিরপুর মাজার। মুসলমান গৃহবধুরা যেমন মানত নিয়ে উপস্থিত হয়, তেমনি হিন্দুরা এসে সিনি্ন গাছের গোড়ায় জ্বালায় ধুপধুনা। শবে বরাতের রাতে সম্ভবত এখানে বসে এশিয়ার বৃহত্তম ভিক্ষুকদের মেলা। এটা ক্রমে রাজনীতিক নেতাদেরও তীর্থস্থানে পরিণত হচ্ছে। আজকাল নির্বাচনী প্রচার শুরু হয় সিলেটের শাহজালাল মাজার থেকে, অদূর ভবিষ্যতে মিরপুর মাজার থেকে শুরু হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। আমরা ভুলে গেছি, মিরপুরকে কেন্দ্র বাংলাদেশের ইতিহাসের সূচনা। এখানকার জাতিগত দাঙ্গাই যে পরবর্তীকালে বাংলাদেশ আন্দোলনের জন্ম দেয় তার ইতিহাস কিন্তু আজো অলিখিত।
মসজিদ নির্মাণ: দিল্লী সম্রাট কতৃক ৮৮৫ হিজরি, ১৪৮০ সনে মিরপুরে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। বাংলার স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে (১৪৭৪-১৪৮১) এ অঞ্চলের গভর্নর জহিরউদ্দীন খান কতৃক হিজরি ৮৮৫ সালে এটি নির্মিত হয় বলে একটি সূত্রে উল্লেলেখ পাওয়া যায়। শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ ছিলেন আবিসিনিয়ার কাফ্রি ক্রীতদাস রুকনউদ্দীন বারবক শাহের (১৪৫৯-১৪৭৪) পুত্র। পিতার মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে বসেন, তার রাজধানী ছিল গৌড়ে। নতুন নতুন মুসলিম জনপদ সৃষ্টির জন্য বিখ্যাত মাহমুদ শাহী (পরবর্তী ইলিয়াস শাহী) বংশের রাজত্বকালে (১৪৩৩-১৪৮৬) এই মসজিদটি নির্মিত হয়। তার মধ্যে নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের সময় নির্মিত হয় খান জাহান আলী মসজিদ, ফতেহ শাহের সময় নির্মিত হয় ঢাকার আদম শহীদ মসজিদ
Song -www.bensound.com

Recommended