প্রাণ সেন্টারে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া || jagonews24.com

  • 3 years ago
হঠাৎ বেজে উঠলো সতর্কীকরণ অ্যালার্ম। সাইরেনের শব্দে সবাই আতঙ্কিত; সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কী হয়েছে? মুহূর্তেই চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, অন্ধকারাচ্ছন্ন পুরো ভবন। আর কারো বুঝতে বাকি নেই যে, ভবনে আগুন লেগেছে! শুরু হয় ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার মার্শাল কর্মীদের কর্মতৎপরতা। ভেঁপু বাজিয়ে ছুটে আসেন আগুন নিয়ন্ত্রণে। হ্যান্ড মাইকে বারবার বলা হচ্ছে, সবাই ইমার্জেন্সি সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসুন। ঘোষণা অনুযায়ী ভবনের পিছনের অংশে ইমার্জেন্সি সিঁড়ি দিয়ে সবাই দ্রুত নেমে আসছেন।

ভবন থেকে নেমেই নিরাপদ থাকতে নিরাপত্তা কর্মী ও ফায়ার মার্শাল সদস্যরা হ্যান্ড মাইকের ঘোষণা অনুযায়ী সবাই খোলা আকাশের নিচে ১ ও ২ নম্বর পার্কিংয়ে অবস্থান নেন। সবার মনে আতঙ্ক। বারবার প্রশ্ন করছেন, অন্য সহকর্মীরা বের হতে পেরেছেন তো? তবে ততক্ষণে দক্ষ ফায়ার মার্শাল কর্মীরা ভবন থেকে সবাইকে নিরাপদে বের করে এনেছেন। পাশাপাশি অন্য দল আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি ছুড়তে থাকেন। ভবনের বাইরে ততক্ষণে উৎসুক জনতার ভিড় জমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডায় অবস্থিত প্রাণ সেন্টারের প্রধান কার্যালয় ভবনে এমন ঘটনা ঘটে। তবে এটি আসলে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয়, চলে আগুনের আগাম সতর্কতায় অগ্নি নির্বাপণ মহড়া।

ভবনে হঠাৎ আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে কিভাবে কাজ করতে হবে? কোন সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে? ভবনে কেউ আটকা পড়লে তাকে কিভাবে উদ্ধার করতে হবে? -এমন সব বিষয়ে কর্মীদের সচেতন করতে প্রাণ গ্রুপের নিয়মিতই চলে এমন মহড়া।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মমিন হোসেন খান বলেন, ইমার্জেন্সি মুহূর্তে আমাদের করণীয় কী? আমাদের অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রপাতি কতটা কার্যকর? আমাদের নিজস্ব ফায়ার মার্শাল বাহিনী তাদের দক্ষতা কিভাবে দেখাবে? কর্মীরাও যেন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনভাবে নিরাপদে দূরত্বে আসতে পারেন -এসব বিষয় মাথায় রেখেই এটি আমাদের রুটিন প্রসেস।

মহড়ায় ভেঁপু বাজিয়ে ছুটে আসা প্রাণ-এর নিজস্ব ফায়ার মার্শাল কর্মীরা ফগিং মেশিনের মাধ্যমে ব্যাপক ধোঁয়ার সৃষ্টি করেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। এ অবস্থায় ভবনে কর্মরত শত শত কর্মীদের সঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরীও নেমে আসেন। তিনিও কর্মীদের সঙ্গে অংশ নেন ইমার্জেন্স?