অন্ধকার চুড়িহাট্টায় কৌতূহলী মানুষের ভিড় - jagonews24.com

  • 3 years ago
শনিবার রাত সাড়ে ৮টা। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। আলো কেবল মসজিদে। চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের এশার নামায শেষে রাস্তায় নেমে এলেন মুসল্লিরা। ঘুরে ঘুরে দেখছেন ধ্বংসস্তুপ।

সরেজমিনে চকবাজার চুরিহাট্টা মোড়ের হাজী ওয়াহিদ ম্যানশনে সামনে দেখা যায় প্রায় কয়েকশ লোকের ভিড়। চুড়িহাট্টা মোড়ে ঢুকতে চারদিকে ব্যারিকেড থাকলেও কেউ নামাজের নামে আবার কেউ স্থানীয় দাবি করে ঢুকে পড়ছেন। দেখছেন সেদিন রাতের ধ্বংসযজ্ঞ।

আগুনে পোড়া বাড়িগুলোতে লাল ফিতা দিয়ে কর্ডন করে রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। টাঙানো হয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন’ লেখা ব্যানার। আলোচিত হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনের প্রবেশ পথে পুড়ে যাওয়া রিকশা, ভ্যান, গাড়ি আর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এলাকাজুড়ে শুধু কালো ব্যানার আর শ্রদ্ধাঞ্জলি। কৌতূহলী অনেকেই মোবাইলের ফ্ল্যাস লাইট দিয়ে দূর থেকে ভবনের ভেতরের চিত্র দেখছেন। একে অন্যের সঙ্গে সেদিনের স্মৃতি চারণ করছেন।

কেউ বলছেন আগুনের একঘণ্টা আগে সে এখান এই সড়ক দিয়ে গিয়েছিল। কেউ বলছে দুইদিন আগেই পুড়ে যাওয়া রাজধানী হোটেলে খেয়েছিল।

সে দিনের স্মৃতি জানতে চাইলে স্থানীয় আজগর আলী মামুন জাগো নিউজকে বলেন, মসজিদে নামাজ শেষে সাড়ে ৮টার দিকে উর্দু রোডের বাড়িতে যাই। দূরে একটা শব্দ শুনি। প্রথমে শুনে মনে হয়েছিল এটা আতশবাজি। তাই গুরুত্ব দেইনি। পরে সবাইকে ছুটোছুটি করতে দেখে গিয়ে দেখি আগুন ছয় তলার সমান উঠে গেছে। এ দৃশ্য কখনো ভুলবো না।

চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশন দেখতে আসা সবার মুখেই ছিল কেমিক্যাল ও গ্যাস সিলিন্ডারের কথা। অনেককেই আগুনের সূত্রপাত নিয়ে তর্ক করতে দেখা যায়।

অগ্নিকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টা পার হলেও চুড়িহাট্টা মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রয়েছে একটি পানির গাড়িও।

এর আগে বুধবার রাতে ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেমিক্যালের কারণে আশপাশের কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে যায় সে আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহত হয়েছে। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে দুইজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ?

Recommended