সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণেই হচ্ছে না সাগর রুনি হত্যার বিচার

  • 3 years ago
সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে মেঘের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিলেও বিচারহীনতা স্পষ্ট। আজ মা-বাবা হত্যার বিচারের ব্যাপারে মেঘ কথা বলতে চায় না। কারণ সাত বছর ধরে সে দেখে এসেছে রাষ্ট্রীয় বিচারহীনতা।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।

ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ সাগর-রুনি হত্যা। অনেক কথা, অনেক ব্যথা নিয়ে আমরা চলছি। গত সাত বছর ধরে শুধু তদন্তই চলছে। এই দিনটি স্মরণসভায় পরিণত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামও করেছি লাভ হয়নি। গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন তাও ভাবনার বিষয়।

তিনি বলেন, ৭০ বছর আন্দোলন করা প্রয়োজন হলেও বিচার নিশ্চিত করা হবে, বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে যুগপথ আন্দোলন। এজন্য দরকার সাংবাদিকদের ঐক্য। অনৈক্যের কারণেই আমরা সাংবাদিক হত্যার বিচার পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রীকে সুবিধাবাদীরা হয়তো বুঝিয়েছে, নইলে এত দিনে সাগর-রুনি হত্যা বিচার হতো।

ইলিয়াস হোসেন বলেন, রুনির ভাই নওশের রোমান, সাগর-রুনির ছেলে মেঘ সমাবেশে উপস্থিত কিন্তু তারা কথা বলবে না, বলতেও চায় না। কথা বলেই বা কি লাভ? সাত বছরে তো বিচারের ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া যায়নি।

সংগঠনের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাগর-রুনিকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু কারা, কেন হত্যা করলো তাদের স্বরূপ দেখতে পাব- তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামে এমনটাই বিশ্বাস করেছিলাম। এরপর কত দিন, কত বছর গেলো, বিচার পেলাম না। খুনীরা আজও ধরা পড়লো না। স্পিকার আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বিচার পাইনি। তবে দেখেছি ৬৩ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছানোর খবর।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, সরকারের দায়িত্ব বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তারা।

আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সরকার পারে না এমন কিছু নেই। সাগর-রুনি হত্যার বিচারে সরকার দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই ব্যর্থতা দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা সাংবাদিকরা কেন তাদের বাধ্য করতে

Recommended