7 Wonders of The World in Bangla 2020 | পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য | World Talent

  • 3 years ago
কি আছে এই গুলোর ভিতরে ? পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য | 7 Wonders of The World in Bangla

7 Wonders, 7 Wonders of The World in Bangla,
7 Wonders of The World, great wall of china,
petra, taj mahal, Christ the Redeemer Statue, Machu Picchu (Peru)
Chichen Itza, The Roman Colosseum
7 wonders of the world 2020 by world talent bangla


১. চীনের মহাপ্রাচীর ( The Great Wall Of China ), চীন।

এটি হল বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাচীর। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষার জন্য এই প্রাচীরটি তৈরি করা হয়। অনেক রাজবংশ এই প্রাচীরটি নির্মানে অংশগ্রহন করেছে এবং অনেক দূরবর্তী পাহাড়, মরুভূমিতে এই অনেক গুলি বিভাগে অবস্থিত। এই প্রাচীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এবং মধ্যে বিখ্যাত চীনের প্রাচীর টি চীনের প্রথম সম্রাট কিন সি হুয়াভের অধীনে নির্মিত হয়েছে।

বিভিন্ন রাজবংশশে নির্মিত চীনের মহান প্রাচীর এর দৈর্ঘ্য ২১,১৯৬ কিলোমিটার (২০১২ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি অধিদপ্তর দ্বারা ঘোষিত)। মিং রাজবংশের গ্রেট ওয়ালের দৈর্ঘ্য ৮৮৫১ কিলোমিটার এবং বেইজিংয়ের প্রায় ৫২৬ কিলোমিটার। এই প্রাচীরটির উচ্চতা প্রায় ৪ মিটার থেকে ৯ মিটার পর্যন্ত (১৫ থেকে ৩০ ফুট) এবং চওড়া প্রায় ৯ মিটার এরও বেশি (৩২ ফুট)।

মিং রাজবংশের সময় প্রায় ২০০ বছর এই প্রাচীরটি নির্মানের কাজ চলে, তার আগেও বহু বছর লেগেছিল এই প্রাচীরটি নির্মানে। এই প্রকচিরটি নির্মাণের প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি লোক লেগেছিল। সাধারণ মানুষ, শ্রমিক এবং সৈন্যরা এই নির্মানে অংশোগ্রহন করে। উপাদান হিসেবে ব্যাবহিত হয় মাটি, পাথর, কাঠ, ইট, বলি।
এই প্রাচীরটিতে অনেক গুলি ওয়াচ টাওয়ার আছে যার মধ্যে ৭২৩ টি বীকন টাওয়ার, ৭০৬২ টি লুকানো টাওয়ার এবং ৩৩৫৭ টি ওয়াল প্লাটফর্ম রয়েছে। যেখান থেকে সৈন্যরা শত্রু পক্ষের উপর নজরদারি করতো। ২০০৭ সালে এই প্রাচীর বিশ্বের নতুন সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

‘দ্য গ্রেট ওয়াল অফ চায়না’ র পরিদর্শনের সময়, গ্রীষ্মকালে সকাল ৬:৩০ থেকে সন্ধ্যে ৭:০০ পর্যন্ত এবং শীতকালে সকাল ৭:০০ থেকে সন্ধ্যে ৬:০০ পর্যন্ত।

২. পেত্রা ( Petra ), জর্দান।

এটি বর্তমানে জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি গ্রাম ‘ওয়াদি মুসা’ র ঠিক পূর্বে ‘হুর’ পাহাড়ের পদতলে অবস্থিত। পেত্রা প্রায় ২৬৪ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত, উচ্চতা প্রায় ৮১০ মিটার।

৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বব্দ পর্যন্ত এটি গাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী ছিলো। পেত্রা নামটি একটি গ্রিক শব্দ ‘petros’ থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়। যার অর্থ পাথর। পাথরের তৈরী বলে এমন নামকরন করা হয়েছে। একসময় এই নগরীটি অত্যন্ত সুন্দর ও সুরক্ষিত একটি দুর্গ ছিল। পাথরের গায়ে খোদাই করে এই নগরটি নিপুল ভাবে তৈরী হয়েছিল। নগরটির চারপাশে পাহাড়ে অনেক ঝর্নাও ছিল। পেত্রা র মূল শহরের একটিই প্রবেশদ্বার যেটির নাম ‘হার্ডিয়েন ফটক’। বর্তমানে সেগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ধংস হয়ে গেছে। পেত্রা র মূল আকর্ষন হল ‘খাজানাতে ফেরাউন’ মন্দির।

মধ্যযুগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে পেত্রা র কিছু অংশ ধংস হয়ে যায়। প্রায় ৫০০ বছর এটি সারা পৃথিবীর আলোচনার বাইরে ছিলো। সেই কারনে একে ‘লস্ট সিটি’ র নামেও জানা যায়, ১৮১২ সালে সুইস পর্যটক জোহান লুভিগ বুর্খাদত এটিকে পুনরায় সারা বিশ্বে নতুন করে উপস্থাপনা করে। পেত্রার মধ্যে একটি অর্ধগোলাকার নাট্যশালা রয়েছে, যেখান

Recommended