একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা খুন মোহাম্মদ জাফর একজন ওমানপ্রবাসী।

  • 4 years ago
একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা খুন
মোহাম্মদ জাফর একজন ওমানপ্রবাসী। গত ১২ মার্চ তিনি দেশে ছুটিতে আসেন করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আর বিদেশে যেতে পারেননি গত ২৯ জুলাই ওমানপ্রবাসী জাফরের গ্রামের বাড়ি পটিয়ার কচুয়াই ইউনিয়নের ভাইয়ার দিঘির পাড় এলাকায় আসেন চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান এবং এসআই আমিনুল ইসলাম। তারা জাফরের সঙ্গে কথা বলে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরে চকরিয়ার ওসি জাফরের স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করে বলেন, জাফর একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী! তাকে ছাড়াতে হলে ৫০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা কোথা থেকে দেবে চিন্তায় পড়ে যায় জাফরের পরিবার। এ দিকে চকরিয়া থানা থেকে ফোন করে বারবার বলা হয় টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। জাফরের পরিবার প্রাণভিক্ষা চাইলেও চকরিয়া থানা-পুলিশ তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। দুই দিন পর ৩১ জুলাই পটিয়া থানা থেকে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারকে ফোন করে জানানো হয় জাফর চকরিয়ার ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। পরে জাফরের পরিবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে দেখেন জাফরের লাশ পড়ে আছে। পটিয়া থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ওমানপ্রবাসী জাফর ও দিনমজুর মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে চকরিয়ার এক যুবককেও একইসঙ্গে সেদিন ৫০ লক্ষ টাকার জন্য ‘হত্যা’ করা হয়।
এই নির্মম ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ও নিহত জাফরের মামা আহমদ নবী বলেন, ‘একজন জলজ্যান্ত মানুষকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে ক্রসফায়ারে দেবে তা হয় না। জড়িত পুলিশ সদস্যেদের বিচার চাই। যেহেতু এই হতভাগারা সেনাবাহিনীর মেজর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয় তাই এটা নিয়ে এত বেশি হৈচৈ হবেনা এবং ওই রাষ্ট্রীয় মাফিয়ারা অতীতের মতো পার পেয়ে যাবে