সন্তানদের কিভাবে মানুষ করবেন। নোমান আলী খানের বাংলা ডাবিং । সন্তানের প্রতি আমাদের কর্তব্য
  • 4 years ago
আমার এক বন্ধু বলেছিল যদি স্টিফেন স্পিলবার্গ পাকিস্তানি ঘরে জন্ম নিতেন তিনি একজন ডাক্তার হতেন, কেন? কারণ আপনি জানেন সেখানকার অবস্থা, তুমি ফিল্ম স্কুলে পড়তে চাও? এইসবের মানে কি ?তুমি কি মেডিসিন শাস্ত্রে ফেল করেছ? আপনি আপনার বাবা-মায়ের ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দিবেন, এখন চলুন সন্তান বড় করা সম্পর্কে কিছু কথা বলি, সবচেয়ে আগে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে, তারা যদি আমাদের মাঝে সফলতার সঠিক সংজ্ঞা খুঁজে না পায়, তারা যদি আমাদের ব্যক্তিত্বে প্রতিফলন দেখতে না পায়, তবে আমরাও এটা আশা করতে পারি না যে তার সফলতা সঠিক মানে নিজ থেকে বুঝে নিয়েছে, তাদের কাছে দিকনির্দেশনা আমাদের পক্ষ থেকেই আসতে হবে আমরা জানিয়ে সব সময় কথা বলি আমাদের কাছে যে বিষয়গুলো সবসময় গুরুত্বপূর্ণ যখন স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন তখন বাচ্চাটা শুনতে থাকে, তাই না? সব সময়, তাদের কান সব সময় খোলা থাকে, এখন আপনারা যদি বিল সংক্রান্ত কথা বলেন, বাড়ি ভাড়া নিয়ে কথা বলেন ,কিংবা আপনারা সব সময় মুভি নিয়ে কথা বলেন, কিংবা অন্য পরিবার সম্পর্কে কেবল বাজে কথা বলেন, তারা কি করে না করে এসব আলোচনা করেন, সন্তান ভেবে নিবে যে বড়রা এমনই, আমার বাবা-মা এসব করে ভেবে নিবে যে বড়রা এমনই এগুলোই তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে কিন্তু আপনি আর আপনার স্ত্রী যদি কোরআন নিয়ে কথা বলেন, আখিরাত নিয়ে কথা বলেন, অন্যের জন্য ভালো কিছু করার কথা বলেন, কাউকে সাহায্য করার কথা বলেন, তারা আপনারটা দেখেই শিখে নেবে, আপনার তাকে লেকচার দিতে হবে না, এই ব্যাপারে তারা কেবল আপনাকে দেখবে, সবচেয়ে কার্যকর প্যারেন্টিং সেটাই, যেখানে বাচ্চাকে কোন কাজ করাতে বাবা মায়ের কোন কিছু বলতে হয় না, তারা দেখতে দেখতেই শিখে ফেলে, কারণ তারা এইসবই সময় দেখছে, আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন আমি যদি নোমান ভাইয়ের লেকচারগুলো নিয়ে এসে বাচ্চাদেরবকে বসিয়ে শোনাতে পারতাম, ইনশাআল্লাহ এরপর তারা ভালো হয়ে যেত, শুধু কয়েকটা ইউটিউব ভিডিও, আর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এতে আসলে কোন উপকার হবে না, আর আপনি হয়তো এতদিনে সেটা বুঝে ফেলেছেন, আর আপনি, আপনিই হচ্ছেন আপনার সন্তানদের প্রকৃত কাউন্সিলর, আমি আমার সন্তানের প্রকৃত কাউন্সিলর, আমাদের তাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে হবে আর এর পরের কথা হচ্ছে বিশ্বের পরিবর্তন আপনি জানেন পুরনো যুগে বাবা মায়ের সাথে সন্তানদের একটা প্রাকৃতিক সম্পর্ক বিরাজ করতো কিন্তু নতুন যুগে আব্বু দিনের বেশিরভাগ সময় অফিসে কাজ করেন, বাসায় আসেন ক্লান্ত হয়ে, আর যে সময় তিনি ক্লান্ত হয়ে বাসায় আসেন, তখন অধিকাংশ বাচ্চাই ঘুমিয়ে পড়েছে, আর যখন তিনি অফিসে যান, বাচ্চারা তখনো ঘুমিয়ে থাকে, আর তেমন যদি নাও ঘটে, তিনি হয়তো যাওয়ার আগে বাচ্চাদের পাঁচ মিনিটের জন্য দেখতে পান, যখন তারা ব্রেকফাস্ট করছে, তিনিও চলে যান, তারাও চলে যায়, তারমানে সাত দিনের মধ্যে পাঁচ দিনে বাবা ও বাচ্চার মাঝে কথোপকথন হয়না, তাও যদি হয়, তুমি হোমওয়ার্ক শেষ করেছ? আচ্ছা যাও আমার জন্য পানি নিয়ে এসো, এতোটুকুই, এর মাঝেই সীমাবদ্ধ, তারপরে আসে ছুটির দিন, কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এখানে দাওয়াত থাকে, ওখানে পার্টি থাকে, আপনার বারোটা পর্যন্ত ঘুমানো লাগে, বাসার কিছু কাজ করতে হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি আপনি তখনও সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান না, তাদের সঙ্গে সত্তিকারের কথাবার্তা বলেন না, তাদের সঙ্গে আপনার আসলে কোন যোগাযোগ নেই, এটাই মূল সমস্যা, আমাদের বাচ্চাদের জন্য সময় বের করে নিতে হবে, সপ্তাহের মাঝে আর সপ্তাহের শেষে, এটাই আপনার ও আমার জন্য কার্যকারী উপদেশ, আমাদের সন্তানদের জন্য সময় খুঁজে নিতে হবে, কেবল তাদের ক
Recommended