বল বিকৃতি কেলেঙ্কারি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় স্মিথ এবং ওয়ার্নারের !!!!

  • 6 years ago
বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে জোর ফাঁসলেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এমনিতেই এই দু'জনকে অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু, গোটা বিষয়টিতে যেভাবে ক্রিকেট বিশ্ব মুখ খুলেছে তাতে অস্বস্তিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাবড় প্রাক্তন সব ক্রিকেটারের সমালোচনা তো আছেই, সেইসঙ্গে বিষয়টিতে ঘোর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাইম মিনিস্টার ম্যালকম টার্নবাল।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাও দেখা যেতে পারে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই দুই ক্রিকেটারেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে আজীবন নির্বাসনের সামনে পড়তে হতে পারে। বল বিকৃতিকাণ্ডে আইসিসি স্মিথকে এক টেস্ট না খেলার শাস্তি দিয়েছে। অন্যদিকে, বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়া অজি ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের ম্যাচ ফি ৭৫% মাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে আইসিসি। আর সেইসঙ্গে শৃঙ্খলা সম্পর্কিত ৩ ডিসিপ্লিনারি ডেমেরিটস পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে। আইসিসি সূত্রে খবর মূল অভিযুক্ত ছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। কিন্তু, সাংবাদিক সম্মেলনে যেহেতু স্টিভ স্মিথ নিজের কাঁধে সমস্ত দোষ তুলে নিয়েছিলেন সে কারণে ব্যানক্রফট-এর কম শাস্তি হয়েছে। তবে, স্টিভ স্মিথ বলেছিলেন বল বিকৃতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলের 'লিডারশিপ গ্রুপ' কিন্তু কোচেরা কেউ বিষয়টি জানত না। তাহলে এই 'লিডারশিপ গ্রুপ'-এর নাম জানার কেন চেষ্টা করল না আইসিসি? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের বহু তারকার মতেই ব্যানক্রফট ও স্মিথকে আইসিসি যে শাস্তি দিয়েছে তা নামমাত্র। এতে পক্ষপাত হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। বল বিকৃতি করার মতো এত বড় একটা ঘটনায় এই শাস্তি কিছুই নয় বলেও মনে করছেন তাঁরা। সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন হরভজন সিং। টুইট করে হরভজন লিখেছেন- 'বা @আইসিসি বা! অসাধারণ তোমার পদক্ষেপ এবং ফেয়ার প্লে! সমস্ত প্রমাণ থাকার সত্ত্বেও ব্যানক্রফটকে ব্যান করা হল না, অথচ ২০০১ সালে কোনও প্রমাণ না থাকার সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অত্যাধিক আবেদনের জন্য ভারতের ৬ ক্রিকেটারকে ব্যান করা হয়েছিল এবং খেয়াল আছে ২০০৮-এর সিডনি টেস্ট? দোষী সাব্যস্ত হল না অথচ ৩ ম্যাচের ব্যান দেওয়া হয়েছিল। আলাদা লোক তাই আলাদা নিয়ম।' বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাইম মিনিস্টার ম্যালকম টার্নবাল-ও। তিনি জানিয়েছেন, 'কী ভাবে আমাদের দলের কেউ এমন প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে? এটা সত্যি অবিশ্বাস্য লাগছে- আমাদের ক্রিকেটাররা সমাজের কাছে আদর্শ, আর ফেয়ার প্লে-র সঙ্গে প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট।'

ইতিমধ্যেই স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ তারা মনে করছে 'লিডারশিপ গ্রুপ' মানে স্মিথ ও ওয়ার্নার। তবে, আর কার কার এতে ইন্ধন ছিল তাও জানার চেষ্টা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্য়তম সেরা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু, বরাবরই মাঠের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিতর্ক টেনে এনেছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডি ক'ক-কে বাবা-মা তুলে গাল দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ওয়ার্নার। স্মিথ গত বছর ভারত সফরে এসে 'ব্রেন ফেড' বিতর্কে জড়ান। স্মিথ মাঠের মধ্যে থেকে রিভিউ কল করা নিয়ে ড্রেসিংরুমের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি ক্য়ামেরায় ধরে পড়ে যায়। রিভিউ কলের নিয়ম অনুযায়ী মাঠের বাইরে থেকে পরামর্শ চাওয়া

Recommended